আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন আপনারা? চাকরি খুঁজছেন, নাকি অফিসের বসকে একটা ছুটির দরখাস্ত দিতে হবে? কিংবা ছাত্রজীবনে শিক্ষকের কাছে কোনো বিশেষ কারণে আবেদন করতে চান? তাহলে, নিঃসন্দেহে দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম জানাটা আপনার জন্য খুবই জরুরি। কারণ, একটি সুন্দর ও গোছানো দরখাস্ত আপনার উদ্দেশ্যকে সফল করতে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে।
আজ আমরা ২০২৫ সালের জন্য সঠিকভাবে দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রকার দরখাস্তের ছবিসহ নমুনাও দেখাবো, যাতে আপনি সহজেই নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি নির্ভুল দরখাস্ত লিখতে পারেন। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!
দরখাস্ত লেখার গুরুত্ব

একটা সময় ছিল, যখন দরখাস্ত মানেই ছিল সাদা কাগজে কয়েকটি গতানুগতিক লাইন। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। এখন একটি সুন্দর দরখাস্ত আপনার ব্যক্তিত্ব এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে। আপনি যখন কোনো চাকরির জন্য আবেদন করেন, তখন আপনার দরখাস্তই প্রথম আপনার সম্পর্কে ধারণা দেয়। তাই, দরখাস্ত লেখার সময় কিছু বিশেষ নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত।
- স্পষ্টতা: আপনার লেখার উদ্দেশ্য যেন পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়।
- সংক্ষিপ্ততা: অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করে মূল বিষয়ে আসা উচিত।
- বিনয়: সম্মানসূচক ভাষা ব্যবহার করা জরুরি।
- সঠিক কাঠামো: একটি আদর্শ কাঠামো অনুসরণ করলে দরখাস্তটি দেখতে সুন্দর লাগে।
দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী (2025)
একটি ভালো দরখাস্ত লেখার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করা প্রয়োজন। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. দরখাস্তের কাঠামো
একটি আদর্শ দরখাস্তের কাঠামো সাধারণত পাঁচটি অংশে বিভক্ত থাকে:
- প্রথমে: তারিখ ও প্রাপকের ঠিকানা
- বিষয়: দরখাস্তটি কী সম্পর্কে, তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
- সম্বোধন: যথাযথ সম্মানসূচক সম্বোধন ব্যবহার করুন।
- মূল বক্তব্য: এখানে আপনার দরখাস্তের মূল উদ্দেশ্য বর্ণনা করুন।
- শেষ: বিদায় সম্ভাষণ ও স্বাক্ষর
২. তারিখ ও প্রাপকের ঠিকানা
দরখাস্তের শুরুতে তারিখ লিখতে হয়। তারিখ লেখার পর, যার কাছে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে, তার পদবি এবং অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করতে হয়।
উদাহরণ:
তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০২৫
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
(বিদ্যালয়ের নাম),
(জেলার নাম)।
৩. বিষয়
বিষয় অংশে দরখাস্তটি কী নিয়ে লেখা হচ্ছে, তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হয়। এটি দরখাস্তের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে সাহায্য করে।
উদাহরণ:
বিষয়: ছুটির জন্য আবেদন।
বিষয়: বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন।
৪. সম্বোধন
যাকে উদ্দেশ্য করে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে, তার প্রতি সম্মান জানিয়ে উপযুক্ত সম্বোধন ব্যবহার করতে হয়।
উদাহরণ:
জনাব,
মহোদয়,
শ্রদ্ধেয় স্যার,
শ্রদ্ধেয়া ম্যাডাম,
৫. মূল বক্তব্য
এটি দরখাস্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে আপনি আপনার সমস্যার কথা বা যে কারণে দরখাস্তটি লিখছেন, তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করবেন। আপনার বক্তব্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।
উদাহরণ:
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী। আমার বাবা একজন কৃষক এবং আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই, আমি আপনার কাছে বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন করছি।
৬. শেষ
সবশেষে, একটি বিদায় সম্ভাষণ জানাতে হয় এবং নিজের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করতে হয়।
উদাহরণ:
অতএব, মহোদয়/মহাত্মন, আপনার নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত,
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র/ছাত্রী,
(নাম)
(শ্রেণী)
(রোল নম্বর)
বিভিন্ন প্রকার দরখাস্তের নমুনা

এখানে বিভিন্ন প্রকার দরখাস্তের নমুনা দেওয়া হলো, যা আপনাকে দরখাস্ত লেখার ধারণা দিতে সাহায্য করবে:
১. চাকরির জন্য দরখাস্ত
চাকরির জন্য দরখাস্ত লেখার সময় আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে। নিচে একটি নমুনা দেওয়া হলো:
তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০২৫
বরাবর,
মহাব্যবস্থাপক,
(কোম্পানির নাম),
(কোম্পানির ঠিকানা)।
বিষয়: সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে দৈনিক “প্রথম আলো” পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আপনাদের কোম্পানিতে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে কিছু লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের জন্য একজন আগ্রহী প্রার্থী।
আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিচে দেওয়া হলো:
- নাম: (আপনার নাম)
- পিতার নাম: (পিতার নাম)
- মাতার নাম: (মাতার নাম)
- জন্ম তারিখ: (জন্ম তারিখ)
- বর্তমান ঠিকানা: (বর্তমান ঠিকানা)
- স্থায়ী ঠিকানা: (স্থায়ী ঠিকানা)
- শিক্ষাগত যোগ্যতা:
- এসএসসি: (পাশের সাল), (বোর্ডের নাম), (ফলাফল)
- এইচএসসি: (পাশের সাল), (বোর্ডের নাম), (ফলাফল)
- স্নাতক: (পাশের সাল), (বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম), (ফলাফল)
- স্নাতকোত্তর: (পাশের সাল), (বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম), (ফলাফল)
- অভিজ্ঞতা:
- (কোম্পানির নাম)-এ (বছর) বছর কাজের অভিজ্ঞতা।
আমি আমার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র এই দরখাস্তের সাথে সংযুক্ত করলাম।
অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাকে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ করে আপনার কোম্পানির সেবায় নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত,
(আপনার নাম)
(মোবাইল নম্বর)
(ইমেইল আইডি)
২. ছুটির জন্য দরখাস্ত
স্কুল, কলেজ বা অফিসে ছুটির প্রয়োজন হলে এই ধরনের দরখাস্ত লিখতে হয়।
তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০২৫
বরাবর,
শ্রেণী শিক্ষক,
(শ্রেণির নাম),
(বিদ্যালয়ের নাম),
(জেলার নাম)।
বিষয়: একদিনের ছুটির জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের (শ্রেণির নাম) শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী। আজ আমার মায়ের শরীর খারাপ হওয়ার কারণে আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারব না।
অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাকে আজকের দিনের জন্য ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
বিনীত,
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র/ছাত্রী,
(নাম)
(শ্রেণী)
(রোল নম্বর)
৩. প্রশংসাপত্রের জন্য দরখাস্ত
কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশংসাপত্র পাওয়ার জন্য এই ধরনের দরখাস্ত লিখতে হয়।
তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০২৫
বরাবর,
অধ্যক্ষ,
(কলেজের নাম),
(জেলার নাম)।
বিষয়: প্রশংসাপত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী। আমি (পাশের বছর) সালে আপনার কলেজ থেকে (বিভাগ) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে, আমি (কোম্পানির নাম)-এ কর্মরত আছি। আমার চাকরির প্রয়োজনে একটি প্রশংসাপত্রের প্রয়োজন।
অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাকে একটি প্রশংসাপত্র প্রদান করে বাধিত করবেন।
বিনীত,
আপনার একান্ত অনুগত,
(নাম)
(বিভাগ)
(সেশন)
৪. ছাড়পত্রের জন্য দরখাস্ত
অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য ছাড়পত্রের প্রয়োজন হলে এই ধরনের দরখাস্ত লিখতে হয়।
তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০২৫
বরাবর,
অধ্যক্ষ,
(বিদ্যালয়ের নাম),
(জেলার নাম)।
বিষয়: ছাড়পত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী। আমার বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার কারণে আমাদের পরিবার সম্প্রতি (নতুন ঠিকানা)-তে স্থানান্তরিত হয়েছে। ফলে, আমার পক্ষে এই বিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে আসা সম্ভব নয়। তাই, আমি আপনার কাছে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করছি।
অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাকে একটি ছাড়পত্র প্রদান করে বাধিত করবেন।
বিনীত,
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র/ছাত্রী,
(নাম)
(শ্রেণী)
(রোল নম্বর)
৫. বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য দরখাস্ত
আর্থিক সমস্যার কারণে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ চেয়ে এই ধরনের দরখাস্ত লেখা হয়।
তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০২৫
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
(বিদ্যালয়ের নাম),
(জেলার নাম)।
বিষয়: বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী। আমার বাবা একজন কৃষক এবং আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই, আমার পরিবারের পক্ষে আমার পড়াশোনার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী, কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত,
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র/ছাত্রী,
(নাম)
(শ্রেণী)
(রোল নম্বর)
দরখাস্ত লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- ভাষা সহজ ও সরল রাখুন, কঠিন শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- বানান এবং ব্যাকরণের দিকে বিশেষ নজর দিন।
- কাটাছেঁড়া পরিহার করে পরিচ্ছন্নভাবে লিখুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন: শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র) দরখাস্তের সাথে যুক্ত করুন।
- মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল আইডি উল্লেখ করতে ভুলবেন না।
- সময় নিয়ে ধীরে ধীরে লিখুন, তাড়াহুড়ো করবেন না।
- অন্যের থেকে হুবহু কপি না করে নিজের মতো করে লিখুন।
আধুনিক দরখাস্ত লেখার কৌশল

বর্তমানে, ইমেইলের মাধ্যমেও দরখাস্ত পাঠানো যায়। ইমেইলে দরখাস্ত লেখার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:
- ইমেইলের বিষয় (Subject) অংশে অবশ্যই দরখাস্তের বিষয় উল্লেখ করুন।
- ইমেইলের মূল অংশে উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করে দরখাস্ত লিখুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র PDF ফরম্যাটে অ্যাটাচ করুন।
- ইমেইল পাঠানোর আগে একবার ভালোভাবে দেখে নিন।
কিছু সাধারণ ভুল যা পরিহার করা উচিত
- অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা।
- অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া।
- ব্যাকরণ ও বানানের ভুল করা।
- অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করা।
- কর্তৃপক্ষকে অসম্মান করা।
- ফরম্যাটিংয়ের ভুল করা।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (Frequently Asked Questions – FAQs)
এখানে দরখাস্ত লেখা নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
- দরখাস্ত লেখার সময় কোন কাগজ ব্যবহার করা উচিত?সাধারণত, A4 সাইজের সাদা কাগজ ব্যবহার করা ভালো।
- দরখাস্তের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?ভাষা সহজ, সরল ও সম্মানজনক হওয়া উচিত।
- আমি কি কম্পিউটারে টাইপ করে দরখাস্ত লিখতে পারি?হ্যাঁ, আপনি কম্পিউটারে টাইপ করে দরখাস্ত লিখতে পারেন। তবে, হাতে লেখা দরখাস্তের গুরুত্ব এখনও অনেক বেশি।
- দরখাস্তের সাথে কী কী কাগজপত্র জমা দিতে হয়?দরখাস্তের সাথে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেন। এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের দরখাস্ত করছেন।
- একটি ভালো দরখাস্ত লেখার জন্য কত সময় নেওয়া উচিত?একটি ভালো দরখাস্ত লেখার জন্য যথেষ্ট সময় নেওয়া উচিত, যাতে কোনো ভুল না থাকে। সাধারণত, ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
দরখাস্ত লেখার নিয়ম কি সব জায়গায় একই?
না, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দরখাস্ত লেখার ধরনে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন, চাকরির আবেদনের দরখাস্ত এবং স্কুলের ছুটির দরখাস্তের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তবে, মূল নিয়মগুলো একই থাকে।
দরখাস্ত লেখার সময় কোন বিষয়গুলো বিশেষভাবে মনে রাখতে হয়?
- ভাষা মার্জিত ও সম্মানজনক হতে হবে।
- বিষয়বস্তু সংক্ষেপে ও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- বানান ও ব্যাকরণ নির্ভুল হতে হবে।
- কাগজ পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
আমি কি অন্য কারো দরখাস্ত দেখে লিখতে পারি?
অন্যের দরখাস্ত থেকে ধারণা নিতে পারেন, তবে হুবহু কপি করা উচিত নয়। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী দরখাস্তটি সাজিয়ে লিখুন।
ইমেইলে দরখাস্ত লেখার সময় কী মনে রাখতে হবে?
ইমেইলে দরখাস্ত লেখার সময় Subject-এ অবশ্যই বিষয় উল্লেখ করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র PDF ফরম্যাটে অ্যাটাচ করুন।
দরখাস্ত লেখার সময় কোন ধরনের কলম ব্যবহার করা ভালো?
সাধারণত, কাল বা নীল রঙের কলম ব্যবহার করা ভালো।
শেষ কথা
একটি সুন্দর ও সঠিক দরখাস্ত আপনার কর্মজীবনে অনেক সুযোগ এনে দিতে পারে। তাই, দরখাস্ত লেখার নিয়মগুলো ভালোভাবে জেনে এবং অনুসরণ করে আপনিও একটি কার্যকরী দরখাস্ত লিখতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী এবং বিভিন্ন প্রকার দরখাস্তের নমুনা ছবিসহ উপস্থাপন করতে। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার সাফল্য আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ!
So Helpfull. Add more
Helpful